ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমে প্রধান সড়কে ‘পেট্রাপোল চলো’ নামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিজেপি। সেখানে এ মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলাদেশের ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশে সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
এমন ঘোষণা দিয়ে ২০ মিনিট আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখেন তারা।
পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা আমরা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে, প্রভু মুক্তি না পেলে আমরা ৫ দিন বন্ধ করব। তারপরে আমরা ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে ওদের আলু-পেঁয়াজ কী করে খায় আমরা সেটা দেখিয়ে দেব।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসকন ভক্তরা এসে পৌঁছান। কিন্তু সেখানেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ৫৪ জন ইসকন ভক্তকে ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়নি। শনিবার থেকে সীমান্তে অপেক্ষা করলেও কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই রোববার তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অনুমতি না পাওয়ায় তারা ভারতে আসতে পারেনি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
ভারতের ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির উদ্যোগে পেট্রাপোলে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
জনসভা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুভেন্দু অধিকারী ও বনগাঁ লোকসভা আসনের এমপি শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁর বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভিমুখে একটি প্রতীকী পদযাত্রা বের করা হয়। মিছিলকারীরা নোম্যান্সল্যান্ড অভিমুখে রওনা দিয়ে ১০০ গজ আগে মিছিল শেষ করেন।
পেট্রাপোল সমাবেশের ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, “ভারতের হরিদাসপুর পেট্রাপোল একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুনেছি। এ সময় দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।”