খুলনায় সাধারণ মানুষের জন্য ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ‘খুলনা ফুড ব্যাংক’ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নগরের শিববাড়ি মোড়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে সকাল থেকে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়ান ক্রেতারা। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ১৮৫ কেজি মাংস বিক্রি হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মাংস কিনতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। রোদ উপেক্ষা করে সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। সকাল ১০টার দিকে বিক্রি শুরু হলে মাংস পাবেন কি না, সেটা নিয়ে অনেক ক্রেতা সন্দিহান হয়ে পড়েন। এরপরও শেষ পর্যন্ত অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম। তিনি বলেন, “ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হবে। এ জন্য সকাল ৯টার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দাম বেশি হওয়ায় গরুর মাংস ভাগ্যে জোটে না। আজ মাংস নিতে পারলে অনেক দিন পর গরুর মাংস খেতে পারব।”
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পেরেছেন শামসুর রহমান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া এই ব্যক্তি বলেন, “সিন্ডিকেটের কারণে গরুর মাংস এখন নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরিবের কথা তো বলারই প্রয়োজন নেই। সেখানে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে শুনে কিনতে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর এক কেজি মাংস নিতে পেরেছি।”
খুলনা ফুড ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদ শেখ বলেন, রমজান মাসে সাধারণ মানুষকে গরুর মাংসের স্বাদ দিতে ৬০০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ২২ মার্চ সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন দুইটি গরুর মাংস বিক্রি করে ৩৯ হাজার টাকার মতো লোকসান হয়েছে। যেহেতু কার্যক্রমটি লাভের আশায় শুরু করা হয়নি, এ জন্য লোকসান হলেও তারা বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন। ক্রেতার তুলনায় মাংস কম থাকায় আজ জনপ্রতি এক কেজি করে মাংস বিক্রি করেছেন।