পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা গ্রামে বিয়ে বাড়িতে নাচ-গান করা নিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সুব্রত গমেজ বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “মামলায় নতুন জগতলা গ্রামের রবিউল করিম ও আমির হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।”
রবিউল করিম চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি এবং আমির হোসেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।
এদিকে, বিয়ে বাড়িতে নাচ-গান করা নিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে যুবলীগের ওই দুই নেতাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, রবিউল করিম ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জগতলা গ্রামের মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বাড়ির মেয়েরা নাচ-গান করছিল। তাদের সঙ্গে নাচতে চান নেশাগ্রস্থ যুবলীগ নেতা আমির হোসেন। এতে তাকে নিষেধ করা হলে সনি গমেজের চাচা সুব্রত গমেজকে মারধর করেন আমির হোসেন।
পরদিন মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালেও তাদের পরিবারের কয়েকজন ও নিকট আত্মীয়কে মারধর করেন আমির হোসেন, রবিউল ও তাদের সহযোগিরা। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম জানান, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।