নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার তাকে গ্রেপ্তার হয়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ আগস্ট চরএলাহী বাজারে বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এর পর থেকে আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেন। তিনি গোপনে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকতেন।
রোববার বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক বাসিন্দা রাজ্জাকের অবস্থান আঁচ করতে পারেন। তাৎক্ষণিক ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা জড়ো হয়ে আব্দুর রাজ্জাককে ভাটারা থানা এলাকার অ্যাপার্টমেন্টের একটি কক্ষ থেকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রাজ্জাককে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। খবর পেয়ে ভাটারা থানার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশকে ভাটারা থানায় পাঠানো হয়েছে।
আটক রাজ্জাককে তোতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হবে। এর পর আসামিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও নিদের্শদাতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কথোপকথনের এমন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
নিহত বিএনপি নেতার স্বজন, এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার সব আসামি গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।