বরিশালে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপরে এই ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার বারিধারা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুরে তাকে বরিশাল আদালতে আনা হবে এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়লে কার সমর্থকরা সেখানে জড়ো হন।
এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আদালতে আনার খবরে সেখানে জড়ো হতে থাকেন যুবদলের নেতা-কর্মীরাও। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায় যুবদল। পরে পাল্টা হামলা চালায় আওয়ামী লীগও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার পর থেকে জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা আদালতপাড়ায় আসতে শুরু করেন। এ খবর পেয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা জাহিদ ফারুকের গ্রেপ্তারের খবরে সেখানে মিষ্টি বিতরণও করেন।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মিলনের নেতৃত্বে আদালতপাড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। প্রথমেই তারা শাহরিয়ার রাজীবের ওপর হামলা চালান। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুব শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনকে বেদম মারধর করা হয়।
জয়নাল জানান, তিনি অন্য কাজে আদালতে গিয়েছিলেন। এ খবর পেয়ে জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে অনু ও আশরাফুলের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ মিছিল করে আদালতপাড়ায় ঢোকে এবং যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় যুবদল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে দুটি ট্রাকে বহু নারী-পুরুষ এসে জয়নালের ছেলেদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা আদালতপাড়ায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ও হামলাকারীদের খুঁজতে থাকেন।
জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউল আলম পলাশ বলেন, “গ্রেপ্তার জাহিদ ফারুক ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমার ওপর হামলা করেছিল। ফারুকের গ্রেপ্তারের খবরে আমরা খুশি হয়েছি। তাকে আদালতে আনা হবে এ খবর পেয়ে আমরা আদালতে এসেছি।”
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, বিএনপির অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে বরিশালে আদালতে তোলা হবে। ঢাকা থেকে তাকে নিয়ে আসা হবে। তিনি রাত ৮টা দিকে পৌঁছাতে পারেন।