নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মুর্শিদা বেগম (৫২) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. বাচ্চু মিয়াকে (৬৫) আটক করে পুলিশ।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আটক বাচ্চু মিয়া উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজীর বাড়ির মৃত আলাম মিয়ার ছেলে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাচ্চু মিয়া ও মুর্শিদা বেগমের ৪ ছেলে। তবে তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না। সকালে আমেনা বেগম নামের এক প্রতিবেশী মুর্শিদার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন বাচ্চু মিয়া। পুলিশ বাচ্চু মিয়াকে আটক করেছে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এলোমেলো কথাবার্তা বলছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সারা রাত আলামত গোপনের চেষ্টা করেছিলেন।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী বাচ্চু মিয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”