নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে জলঢাকা থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এর আগে রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন তার আপন দুলাভাই বেলাল হোসেন।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা বড় জুম্মাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে ওই কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বলেন, “আমার জামাই আমার ছোট মেয়েটার সঙ্গে এ রকম কাজ করবে চিন্তা করা যায় না। আমার মেয়ে হাসপাতালের বেডে কতনা কষ্ট পাচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ যেন দ্রুত বেলালকে ধরে জেলখানায় ঢুকায়।”
মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ওই কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বিয়েতে রাজি ছিলেন না তার দুলাভাই বেলাল। এরপরও বিয়ের আলোচনা চলায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিবারের লোকজন বাইরে অবস্থান করায় বেলাল ওই কিশোরীকে বাড়ির পেছনে ডাকেন। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বেলাল। পরে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলা ও গাল কেটে দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ভুক্তভোগীর বড় বোন বলেন, “আমার বিয়ের ছয় বছর হচ্ছে। একটা বাচ্চা আছে আমাদের। আমার স্বামীর সঙ্গে আমার বোনের কোনোদিন খারাপ কিছু দেখি নাই, শুনিও নাই। ফোনে যে কথা বলে স্বাভাবিকভাবে কথা বলত। আমার স্বামী এমন কাজ করবে ভাবতে পারি নাই। আমি তার শাস্তি চাই। আজকে আমার বোনকে করছে, কিছুদিন পর আমাকে করবে, তখন কী হবে। আমার একটা সন্তান আছে, তাকে যদি মেরে সে চলে যায়।”
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল আলম বলেন, “মেয়েটাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার গাল কাটা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।”