নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য নাজমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের উজির আলী জমাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নাজমা আক্তার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার রুস্তম ড্রাইভার বাড়ির মো. ইউসুফের মেয়ে।
নাজমা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. রাসেলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী রাসেল বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে কলহ করত। কিছুদিন আগে তিনি তার অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন।
তিনি আরও বলেন, ৬ নভেম্বর নতুন একটি অটোরিকশা কেনার জন্য দুই লাখ টাকা আমার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠান। শনিবার দুপুরের দিকে তিনি আমার কাছে টাকা চেয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙতে চেষ্টা করেন। ওই সময় আমি বাধা দিলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির উপস্থিতিতে রাসেল আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যার দিকে আমাকে ২৫০ জন্য বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, তৈল জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি জায়গায় পুড়ে ফোস্কা উঠে গেছে।