নেত্রকোনার মদন উপজেলায় প্রবাসফেরত স্বামীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মুক্তা আক্তার (২৬) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মদন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন। এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর নাম এখলাছ উদ্দিন (৩৫)। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার আমজাদ হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে মুক্তাসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে মুক্তা আক্তারকে বিয়ে করেন এখলাছ উদ্দিন। বিয়ের কিছুদিন পর মালয়েশিয়া চলে যান তিনি। সেখান থেকে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার রোজগারের টাকা স্ত্রীকেই পাঠাতেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীর কাছে টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে কলহ-বিবাদ শুরু হয়। রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে স্ত্রী মুক্তা আক্তার ফোন করে এখলাছকে তার শ্বশুরবাড়িতে ডাকেন। রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্ত্রী। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এখলাছকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুক্তা আক্তার ও তার বাবা খায়রুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিনের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।