• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভিপি নুরের ওপর হামলা, তিন বছর পর মামলা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
ভিপি নুরের ওপর হামলা, তিন বছর পর মামলা

টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রায় তিন বছর পর মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টম্বর) রাতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ৩৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালকে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, ছানোয়ার হোসেন ও খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক তানভীর ইসলাম হিমেল ও রনি আহমেদের নাম রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নূরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে টাঙ্গাইলে আসেন। শহরের সন্তোষ এলাকায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্ত মঞ্চের কাছে পৌঁছনোর পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে নূরুল হক নূরের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তারা জীবন নিয়ে ফিরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনার পর তারা মামলার উদ্যোগ নিলেও পুলিশ ওই সময় মামলা গ্রহণে অসম্মতি জানায়। তাই মামলা দায়েরে বিলম্ব হলো বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।

Link copied!