শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় আহত স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলাম (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে এই হামলায় শরিফুলের ছোট ভাই লিটন মিয়া নিহত হন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে ২৪ আগস্ট (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পু জহুরুল হক (৪৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন শিরা ও তার লোকজনের হামলায় রানীশিমুল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহসভাপতি লিটন মিয়া, তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়ার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় হামলাকারীরা। ওই ঘটনায় নিহত লিটনের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে থানায় ২৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে শরিফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।