গাজীপুরের টঙ্গীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজে কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরে সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হামলায় টঙ্গীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতেই গুরুতর আহতরা টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজন বাড়িতে ফিরেছেন। বাকি চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন শাওন, রাসেল মাহমুদ, রিফাত, আব্দুল রিফাত, মাহমুদুর রহমান ও পারভেজ হোসেন।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন টঙ্গীর আলহামরা গার্ডেন এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন সাদিক (২১) ও খাঁপাড়া এলাকার মো. এনামূল হকের ছেলে মামুন মিয়া (১৭)। তারা টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন পারভেজ হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দ্রোহের গান ও কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় ওই এলাকার ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রলীগের কর্মী দেশীয় অস্ত্র ও চাপাতি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৬ জন গুরুতরসহ আরও ১০ জন আহত হন।
পরে রাত ১০টার দিকে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অন্যতম পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের পর ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।