নোয়াখালী সদরে দিনেদুপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেই থামেনি, যাওয়ার সময় ঘরের সব আসবাবপত্র পুকুরে এবং সড়কের ওপর ফেলে দেয়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলায় কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে আটক করে। এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত হামিদ উল্যার ছেলে সৌদি প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন (৪৫) এবং একই এলাকার শাহ্ আলমের দুই ছেলে আলমগীর (৩৫) ও জাহাঙ্গীরের (৩৭) সঙ্গে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। এরমধ্যে গত কয়েকদিন আগে আলমগীর একটি মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসে সুমনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৬/৭টি মাইক্রোবাসযোগে অর্ধশতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিতে এসে সুমনের বাড়িতে হানা দেয়। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বসতঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সুমনের স্ত্রী, শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে। এ সময় প্রাণ ভয়ে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে সন্ত্রাসীরা ঘরের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে সবকিছু ভেঙে তছনছ দেয় এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের খাট, লেপ তোশক, সোফা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, হাড়ি-পাতিলসহ সবকিছু ঘর থেকে বের করে পাশের পুকুরে এবং সড়কে ফেলে দিয়ে যায়।
প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন অভিযোগ করে বলেন, “আলমগীর একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কাজে জড়িত তিনি জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে তিনি আমাকে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেনি বলেই আজ আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়ে গেছে।”
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১ মার্চ) দুপুরের দিকে আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।”