ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চলছে ভোট গ্রহণ। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে দেখা যায় এক নারী ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কাপড় দিয়ে তৈরি করা বুথে প্রবেশ করলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন ভুইঞাও সেখানে প্রবেশ করেন।
ভোট প্রয়োগে সহায়তা করতে কাপড় দিয়ে মোড়ানো বুথের ভেতর ঢুকে ভোট প্রয়োগে সহায়তা করছেন কেন্দ্রটির সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন ভুইঞা। এভাবে কোনো প্রিজাইডিং অফিসার ভোট প্রয়োগে সহায়তা করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের মাঝিরহাট বাজারের নশাসন সরকারি প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রটির মাঠে ভোটারদের কোনো লাইন নেই। অলস সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বরতরা। এসময় কেন্দ্রের ভেতরে সাদা কাপড় দিয়ে তৈরি করা বুথে প্রবেশ করেন এক নারী ভোটার। এসময় ওই কেন্দ্রের সহাকারী প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন ভুইঞাও সেখানে প্রবেশ করেন।
বুথ থেকে বের হওয়ার পরে ওই নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার বাড়ি মাঝি কান্দি।” এই বলে তিনি চলে যান।
বুথে প্রবেশ করা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন ভুইঞার বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে। আইনগতভাবে এটা আমি পারি না। সামনে আর এমন কাজ করব না।”
এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. তৌফিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষক কার্ড বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। এরপর বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। আপনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সঙ্গে কথা বলুন।”
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মান্নান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বুথের ভেতর ভোটার ছাড়া আর কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। যদি কোনো প্রিসাইডিং অফিসার বা কোনো এজেন্ট এমন কাজ করে থাকেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোটরসাইকেল প্রতীকে এ কে এম ইসমাইল হক, আনারস প্রতীকে আলাউদ্দিন বেপারী, ঘোড়া প্রতীকে মামুন শিকদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকে আলমগীর ফকির, উড়োজাহাজ প্রতীকে জাকির হোসেন বেপারি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে নাজমা আক্তার, হাঁস প্রতীকে রাজিয়া সুলতানা।