“আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে, যেন পরকালে তোমায় দেখার একটু সাধ জাগে”- ফেসবুকে এই পোস্ট করার চারদিন পর আত্মহত্যা করেছে খুলনার হরিণটানা উপজেলার সাথী আক্তার নামের এক কিশোরী।
রোববার (১৬ জুন) ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ সাথী আক্তারের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে শনিবার (১৫ জুন) রাত ১২টায় উপজেলার পিঁপড়ামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাথী আক্তার একই এলাকার বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখের বড় মেয়ে এবং প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে রাজ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সাথীর। রাজ বিশ্বাস স্থানীয় একটি এনজিওতে হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত। সম্প্রতি মনোমালিন্যের জেরে শনিবার রাতে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ওই রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় রোববার সাথীর বাবা বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় একই অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সেই ধারায় মামলা হবে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
