এবারও দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত। ঈদের দিন ১০ লাখ মুসল্লি সমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় সাড়ে ২২ একর। ২০১৭ সালে ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট ঈদগাহের মিনারটি তৈরিতে খরচ হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা।
উপমহাদেশে এতো বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। পুরো মিনার সিরামিকস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।
২০১৭ সাল থেকে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা মুসল্লিরা। তবে করোনার কারণে গত দুই বছরে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। তবে যদি বৈরী আবহাওয়া হলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে।
এদিকে সোমবার (৮ মার্চ) ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি পরিদর্শনে যান বৃহত্তম এ ঈদগাহের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এসময় তিনি বলেন, “শোলাকিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। তবে আয়তনের দিক দিয়ে দিনাজপুর ঈদগাহ মাঠ এর চারগুণ বড়। শোলাকিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঈদের জামাতের পাশাপাশি দিনাজপুরের এ ময়দানে প্রতিবার ৬-৭ লাখ মানুষের সমাগম হয়। এবারে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী।”
বৃহত্তম এই ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ। তিনি জানান, গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাাব সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয়েছে চারটি বড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে শহরজুড়ে, যাতে যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে ও বের হতে কোনো সমস্যা না হয়।