চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিপন দাস (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিরিচ দিয়ে আইনজীবীকে কোপান চন্দন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিপন পাথরঘাটা হরিদাস লেনের সাধুর বাড়ির মৃদুল দাসের ছেলে। নগরের চকবাজার এলাকায় মেডিসিন শপ নামের একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে জেলার আনোয়ারা থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তার হাতে বঁটি ছিল। পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট। ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ রিপনকে শনাক্ত করে।
এর আগে, বুধবার রাতে হত্যায় অংশ নেওয়া চন্দন দাসকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, কিরিচ দিয়ে আইনজীবীকে কোপান চন্দন। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে কিরিচ, পরনে কমলা রঙের গেঞ্জি, কালো প্যান্ট ও মাথায় ছাই রঙের হেলমেট ছিল চন্দনের।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে ঘিরে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১১ জন গ্রেপ্তার হলেন।