কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গেলে কয়েক দফায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এরপর বিজিবির কাছে ফেরত দিলেও তাদের ব্যবহৃত নৌকাসহ জাল ফেরত দেয়নি মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
জানা গেছে, জিম্মি থাকা জেলেদের মধ্যে রয়েছে ২১ জন রোহিঙ্গা ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ পৌর শহরের টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে দিয়ে তাদের ফেরত এনেছে বিজিবি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আন্তরিকতা ও দীর্ঘদিনের মধ্যস্থতায় মায়ানমারের আরাকান আর্মির নিকট আটক ২৬ জন জেলে দেশে ফিরে এসেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে টেকনাফের কে কে খাল এবং শাহপরীরদ্বীপ ট্রলারঘাট থেকে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন দলে মোট ২৬ জন জেলে নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপসাগরে গমন করে। তারা মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভুলবশত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। এর পরপরই আরাকান আর্মির সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে নৌকাসহ আটক করে নিয়ে যায়।
আশিকুর রহমান আরও জানান, পরবর্তীতে আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনতে বিজিবির হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন এবং দীর্ঘ মধ্যস্থতার পর আজকে বিকালে আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে দেশে ফিরিয়ে আনা জেলেদের তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সেন্টমার্টিনের ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমার জলসীমানায় অতিক্রম কালে ৫৬ জন জেলেকে আটক করে নিয়ে যায় মিয়ানমার আরাকান আর্মি। পরবর্তীতে ৬টি ট্রলারে থাকা মাছ ও খাদ্যদ্রব্য নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।