দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলামের (আরাভ) স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া। তার বাড়ি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রাম। তিনিও আরাভের সঙ্গে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। তবে পরিবারের দাবি, আরাভের সঙ্গে থাকায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এর আগে কয়েকবার মেহেরপুরে এসেছেন আরাভ খান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আপন নামেই চেনে। তার শ্বশুরবাড়ি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। আপন জুয়েলার্সের মালিক পরিচয়ে সুরাইয়া আক্তার কেয়াকে ফাঁদে ফেলেন আরাভ। পরে বিচ্ছেদও হয়। এই মামলায় ২০২২ সালে জামিনে বের হন সুরাইয়া আক্তার কেয়া। পরে পরিবারিকভাবে মেহেরপুরে শাহিন নামের এক যুবককে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় চলে যায় শাহিন ও কেয়া।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের সুরাইয়া আক্তার কেয়ার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “২০১৩ সালে এসএসসি পাস করার পর ম্যাটসে (ডিপ্লোমা) ভর্তি হয় কেয়া। সেখানে পড়ালেখা করতে গিয়ে আরাভের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমি তাকে আপন নামেই চিনি। সে নিজেকে আপন জুয়েলার্সের মালিকও বলত। সে আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। আমরা পরে জানতে পারি সে একজন প্রতারক এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমার মেয়ের যখন বিয়ে হয় তখন তার বুদ্ধি সেইভাবে হয়নি।”
সুরাইয়া আক্তার কেয়ার মা মনোয়ারা বেগম বলেন, “আপন নামের ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁসায়। সে আপন জুয়েলার্সের মালিক বলে আমাদের কাছে পরিচয় দেয়। পরে বাড়িতে একদিন বিয়ের কথা বলতে এলে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলি। একদিন পরে ওই ছেলেটা আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকে আমার মেয়ের সঙ্গে কখনো যোগাযোগ করতে দেয়নি। কিছুদিন পরে শুনলাম আমার মেয়ে হত্যা মামলা আসামি। প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিল আমার মেয়ে। পরে জামিন হওয়ার পর মেহেরপুরে বিয়ে দিয়েছি।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি সুরাইয়া সুলতানা কেয়া আরাভের স্ত্রী। সে ঢাকার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। আমাদের কাছে তার তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছি।”