• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৬

মধ্যরাতে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর গুলিতে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ১০:২৭ এএম
মধ্যরাতে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর গুলিতে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত

যশোরে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন ওরফে ট্যাটু সুমনের গুলিতে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর সাদী আহমেদ (৩২) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে যশোর শহরের রেলগেট পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত মীর সাদী আহমেদ শহরের রেলগেট এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে।

হামলাকারী ট্যাটু সুমন এবং নিহত সাদী আহমেদ দুজনই যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেলের ক্যাডার। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন সাদী। বাড়ির সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ট্যাটু সুমন ও মেহেদী। বাসার সামনে পৌঁছাতেই সুমন ও মেহেদী সাদীকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সাদীর বাইকে থাকা রাকিব ট্যাটু সুমনকে জড়িয়ে ধরলে তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে ও রাকিবকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের ছোড়া গুলিতে সাদীর গলা ও বুকে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করে। ঢাকাতে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে সাদীর মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ বলছে, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ত্রাস ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। রেলগেট এলাকায় মাদকবিক্রি, চাঁদাবাজি, হাঁটবাজার ইজারার নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদী। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর ম্যানসেল আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে রেলস্টেশন বাজার ও রেলগেট এলাকার চাঁদার টাকা ম্যানসেলকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় সাদী। চাঁদার টাকা না পেয়ে ম্যানসেল তার আরেক সহযোগীদের দিয়ে সাদীকে হত্যা করিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ঘটনার পর যশোর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Link copied!