মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন সামিয়া বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের চিতাখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম তার স্বামী রফিকুল সর্দার (৩২)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রফিকুল মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী গ্রামেরে মৃত মতিন সর্দারের ছেলে। সামিয়া সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের চিতাখোলা গ্রামের তমিজ উদ্দিন শেখের মেয়ে।
সামিয়া বলেন, “আড়াই বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আমাকে নির্যাতন করত, অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়াও ছিল। নির্যাতন সইতে না পেরে রাগের মাথায় আমি এ কাজ করেছি।”
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, সামিয়া বেগম তার বাবার বাড়িতে থাকেন। স্বামী রফিকুল পেশায় গাড়ি চালক, মাঝে মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সংসারের খরচ ঠিকমতো বহন করতে না পারায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত রফিকুলের বিশেষ অঙ্গ ধারালো চাকু দিয়ে কেটে দেন সামিয়া।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আঞ্জুমান আরা বলেন, “রফিকুলকে রাত ৪টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের কাছে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠিয়েছি।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজিদখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
