সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “সে ভেরি গুড অফিসার। সে অ্যাডমিনেস্ট্রিটিভ পরীক্ষায় সারা দেশে ফাস্ট হয়। এছাড়া সে তার ব্যাচে ফাস্ট বয়।” তৌহিদুল ইসলামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত তুখোড় ছেলে। এখন ওকে টেনে কীভাবে নামানো যায় তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধু-বান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি কাজ করছে। আমি যতদিন আছি তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাব।”
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চাঁনপুর খেয়াঘাট এলাকায় সুরমা নদীর চর খনন কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছরের জুলাই থেকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য। এ পদে কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামকে রাখতে চায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ভিয়েনায় পাঠানো হয়। কিন্তু অস্ট্রিয়া সরকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তৌহিদুল ইসলামকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। ১৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন অস্ট্রিয়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেন। তিনি তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান। কিন্তু এরপরও ভিয়েনা থেকে তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
তৌহিদুল ইসলাম যখন ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে অধস্তন এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিয়েনা গ্রহণ করছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে গিয়ে মাল্টিন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা।” তিনি আরও বলেন, “কিন্তু তার (তৌহিদুল) শত্রু আছে। সে কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনো একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। একটা কেলেঙ্কারির চেষ্টা করে। তখন তাকে সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়। পরে দেখা যায় একেবারে বানোয়াট।”