নওগাঁর সাপাহার, পোরশা নিয়ামতপুর, মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলার গাছে গাছে উঁকি দিতে শুরু করেছে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুল। গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয় এক নতুন ছন্দের।
বৃহস্পতিবার (৩০জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আম গাছে আসতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। আগাম মুকুলে আম চাষিদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। মাঘের হিমেল হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে মুকুল। গাছের কচি শাখা-প্রশাখায় ফোটা ফুলগুলোর ওপরে সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে।
এবার জানুয়ারিতেই কিছু কিছু গাছে আমের মুকুল চলে এসেছে। এখন ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া না হলেই ভালো হয় বলে মনে করে আম চাষিরা।
নিয়ামতপুর টিএলবি বাতপাড়া গ্রামের আম চাষি ডা. নরুল ইসলাম বলেন, “এবার জানুয়ারিতেই অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফাল্গুন মাসের মধ্যে উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। তবে এ সময় মাঝে-মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়।”
রহিম রেজা, হাসান আলী, খোকন তালুকদারসহ কয়েকজন বাগান মালিক বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় বর্তমানে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে।
চাষিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন আম গাছে ইমিডা ক্লোরোফিল অথবা ম্যানকোজেব স্প্রে করতে হবে এবং ম্যানকোজেব, মনুবর বোরণ দিলে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।