নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছেরের বাড়িতে ককটেল হামলা ও ফাঁকা গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মেমের স্কুল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
আতাউর রহমান নাছের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের নির্বাচনী কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শিহাব উদ্দিন শাহীনের চাচা সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়িতে ককটেল হামলা ও ফটকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. একরামুল করিম চৌধুরীর লোকজন ওই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের। তিনি জানান, রাতে তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ির সামনে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে তারা। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে তিনি থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, “ট্রাক মার্কার জোয়ার দেখে ন্যাক্কারজনক হামলার পথ বেচে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এর আগে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ছোট ছেলে বাহার উদ্দিন খেলনের বাড়িতে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং দাদপুরে নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে ঠ্যাং ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, এগুলো সবই ওদের নাটক। আমি নোংরা রাজনীতি করি না, পছন্দও করি না। যদি সত্যি কেউ উনার বাড়িতে হামলা করে থাকে, আমি তার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। এর আগে বাহার উদ্দিন খেলনের বাড়িতে হামলার অভিযোগও মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ককটেল হামলার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। সেখান থেকে পটকাজাতীয় কিছু বিস্ফোরকের আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।