ঘন কুয়াশার সঙ্গে জয়পুরহাটে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছেন। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। সড়কে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
জয়পুরহাটে গত দুই দিন ধরে চলাচলের মতো তাপমাত্রা থাকলেও হঠাৎ রোববার (২১ জানুয়ারি) তা কমে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তাই জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো রোববার ও সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার পর বন্ধ ঘোষণার কথা শুনে বাড়িতে ফিরে যান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী রোববার জয়পুরহাট জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিস। তাই দুই দিন জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ করা হয়েছে। এ আদেশ যেসব প্রতিষ্ঠান অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার আমান উদ্দিন মন্ডল।
জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমান উদ্দিন মন্ডল বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় ২১ ও ২২ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে। আর যদি কমতে থাকে সেই মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ ও জয়পুরহাটে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেই মোতাবেক পাশের জেলা ও উপজেলাতে তাপমাত্রা সামান্য তারতম্য হতে পারে।”