আগামী বুধবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে নগরীর ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সংস্থাটি বলছে, নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরীর মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে বিএনপি এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মাঝপথে নির্বাচন বর্জন করে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন মাঠে কেবল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কেন্দ্রে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকা, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা, যোগাযোগ বিড়ম্বিত কেন্দ্র, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কাসহ নানা দিক বিবেচনা করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
এবারের তালিকা অনুযায়ী ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সব ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস গণমাধ্যমকে জানান, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের স্বার্থে কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন।