• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আলিম


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আলিম

নাটোরের গুরুদাসপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক মো. আব্দুল আলিম। চলতি মৌসুমে জমি থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফুলকপি উৎপাদন করেছেন তিনি। তার এমন সফলতা দেখে অনেকে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপি। দূর থেকে দেখে মনে হবে এ যেন এক ফুলের রাজ্য। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে এই রঙিন ফুলকপি দেখতে আসছেন। অনেকে নিজের জমিতে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করে আব্দুল আলিমের কাছ থেকে নিচ্ছেন নানা পরামর্শ।

আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। জমিতে চারা রোপনের দুই মাস পর ফসল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়। এ জমিতে ফুলকপি চাষে বিভিন্ন খরচ বাদে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপির বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই ফুলকপি। অনেকে জমি থেকে ফুলকপি কিনতে আসছেন।

আব্দুল আলিম বলেন, “নাটোরে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করি আমি। আগে তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। কৃষি অফিসের পরামর্শে সাহস করে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ২ হাজার ২০০টি হলুদ ও বেগুনি রংয়ের চারা রোপন করি। জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেছি। সাদা ফুলকপির মতোই চাষাবাদ খরচ হলেও তুলনামূলকভাবে এই ফসলে জৈব সার বেশি লাগে। চারাসহ এ ফুলকপি চাষে মোট খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, “প্রথম দিকে প্রতি কেজি রঙিন ফুলকপি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি দরে এই ফুলকপি বিক্রি করছি। বাজারে এই ফুলকপির চাহিদাও অনেক বেশি। সাদা কপির চেয়ে এই কপির দামও বেশি। এ রঙিন ফুলকপি চাষে অনেকে পরামর্শের জন্য আসছেন।”

স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রাজিব হোসেন বলেন, “সাদা ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক ক্রেতা উৎসাহিত হয়ে রঙিন ফুলকপি কিনছেন। অন্য কপির চেয়ে এ কপি বেশি বিক্রি হচ্ছে।”

Link copied!