মদ খেয়ে স্থানীয়দের পেটালেন ইউপি সদস্য


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
মদ খেয়ে স্থানীয়দের পেটালেন ইউপি সদস্য
জেলার মানচিত্র

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় আবুল কালাম খান (৪৫) নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় সাতজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়াপাড়া খ্রিস্টান পল্লীতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।

আবুল কালাম খান উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও গোপালপুর মধ্যপাড়ার মৃত আজাহার খাঁর ছেলে। এ ব্যাপারে হামলার শিকার প্রিসিলা মালো বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন।

ভূঁইয়াপাড়া খ্রিস্টান পল্লির দিপালী রোজারিও জানান, রোববার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আবুল কালাম মদ খেয়ে পল্লীর রাস্তায় এক ভ্যানচালককে আটকে টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ভ্যানচালককে মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আবু তাহের (৫০) ও তার ছেলে শাওন প্রামাণিককেও মারধর করেন ইউপি সদস্য।

মামলার বাদী প্রিসিলা মালো জানান, ঘটনার সময় কালাম হাতে থাকা বাটাম নিয়ে অনেককে তাড়া করেন। একপর্যায়ে গাছে ও দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে নিজেই রক্তাক্ত হন। এরপরও বাড়ির ভেতর ঢুকে নারীদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। তার হামলায় আরও আহত হয়েছেন রূপালী বৃগেল, রায়মন রোজারিও, আলেকজান্ডার মানিক ও দিপালী রোজারিও। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক জানান, কালামকে সবাই কালাম মাতাল নামে চেনে।

স্থানীয়রা জানায়, এই হামলায় আরও আহত হয়েছেন রায়মন রোজারিও (৬০), আলেকজান্ডার মানিক (২৮) ও দিপালী রোজারিও (৪৫)।

স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য সালমা খাতুন কমলা বলেন, কালাম মেম্বারকে স্থানীয়রা ‘কালাম মাতাল’ নামে চেনে। মদ্যপ অবস্থায় খ্রিস্টান পল্লীতে গিয়ে মারধর করায় একটা ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে কালাম প্রায়ই মদ পান করে এই খ্রিস্টান পল্লীতে অপ্রীতিকর আচরণ করেন। তার ভয়ে ওই পল্লীর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কালাম এ ধরনের কাজ প্রায়ই করে থাকে। খ্রিস্টান পাড়ায় গিয়ে এমন ঘটনা আরও কয়েকবার ঘটিয়েছে। তার সংশোধন হওয়া জরুরি।

এদিকে ইউপি সদস্য কালামের পরিবারের সদস্যরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খান বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। রাতেই কালাম মেম্বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কালাম মেম্বারকে পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হলে পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!