ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মসজিদের ভেতরে ঢুকে বিএনপি নেতাদের মারধর করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজের সময় উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘারুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান নোমান ৫০), আক্কেল আলী (৫৩), আওলাদ আলী (৫৮) ও দুলাল খালাসী (৪৫) আহত হন। আহতদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজরাকান্দা গ্রাম দুটি দলে বিভক্ত। দুটি দলই নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক। একটি দলের নেতৃত্ব দেন জব্বার মাস্টার, অন্য দলের নেতৃত্ব দেন জুলহাস মেম্বার। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জুলহাস মেম্বার দলের পান্নু খালাসির সঙ্গে জব্বার মাস্টারের দলের দুলাল খালাসির গোসল করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনায় উভয়ের মাঝে সালিশ বৈঠকে বসার সময়ও নির্ধারণ হয়। পরে বুধবার জব্বার মাস্টারের দলের আসাদুজ্জামান নোমানসহ আরও ৫-৬ জন ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে রওনা হন। এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা জুলহাস মেম্বারের দলের লোকজন আনোয়ার খালাসী, বালা খালাসী, মন্নু খালাসী, সোহেল খালাসী, মিরাজ মাতুব্বর, অন্তর, শীতল, নিলু পেছন থেকে ধাওয়া করেন। তখন বিএনপি নেতা ও তার লোকজন দৌড়ে মসজিদের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষরা মসজিদের ভেতরে গিয়ে হামলা চালান।
জুলহাস মেম্বার বলেন, “গতকাল জব্বার মাস্টারের লোকজন পান্নুর বউকে মারধর করে। সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে আমাকে না জানিয়ে ওরা মসজিদে হামলা চালিয়েছে।”
অপর পক্ষের জব্বার মাস্টার বলেন, “আগের দিন একটা ঘটনা ঘটলে রাতেই মীমাংসা হয়। তারপরেও আমার লোকজন ফজরের নামাজ পড়তে গেলে ওই গ্রুপ মারধর করে। আহতরা সবাই বিএনপির লোক।”
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান বলেন, “মারামারির এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”