• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পালিয়েছেন আ.লীগ নেতা, বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর অনশন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
পালিয়েছেন আ.লীগ নেতা, বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর অনশন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লাল মিয়াকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে দ্বিতীয়বারের মতো ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড়। এসময় লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি দরজায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান নেন।

জানা যায়, গত সাত বছর আগে লাল মিয়ার সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভনে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের তাগিদ দিলে নানা অযুহাতে এড়িয়ে যান লাল মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেননি।

গত (২৩ জুলাই) সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। এ সময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয়দের বিয়ের কথা বলে ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন লাল মিয়া। পরে ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে রেখে কাজি আনার কথা বলে পালিয়ে যান।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে কলেজছাত্রীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী গ্রামে ফুপুর বাড়িতে যান লাল মিয়া। সেখানে বিয়ের দাবি করা হলে লাল মিয়া তার বড় স্ত্রীসহ আত্মীয়দের খবর দিয়ে ওই বাড়িতে নেন। তারা গিয়ে শনিবার (৩১ আগস্ট) বাঁশতৈল পরিষদে বিয়ে পড়ানো হবে বলে চলে আসেন। লাল মিয়া কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে রাতে ওই বাড়িতে থাকেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে সালিশ বসে। সেখানে হেলাল নামের স্থানীয় এক বিচারক লাল মিয়াকে কৌশলে পালাতে সহায়তা করেন। পরে বিকেলে ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন। রাতভর বাড়ির উঠানে বসে থাকেন। পরে রোববার খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করেন।

অপরদিকে লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি ঘরের দরজায় তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান নেন। এসময় লাল মিয়ার স্ত্রী স্থানীয়দের বিয়ে না করিয়ে অন্যভাবে মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে তাড়াতে বলেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে লাল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “সারা রাত লাল মিয়ার বাড়ির উঠানে বসে রাত পার করেছি। মশার কামড় খেয়েছি। স্থানীয় লোকজন আমার এই অবস্থা দেখতে আসছে। কিন্তু কেউ কোনো সমাধান করতে আসে না। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।”

এ ব্যাপারে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, “লাল মিয়া এবং ওই কলেজছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে একাধিকবার সালিশ হয়েছে। সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে এড়িয়ে চলেন লাল মিয়া। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালেও ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। সেখান থেকেও লাল মিয়া কৌশলে পালিয়ে যান।”

Link copied!