• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

দুধ দিয়ে গোসল করে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ


কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
দুধ দিয়ে গোসল করে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ

কুমিল্লায় দুধ দিয়ে গোসল করে পদত্যাগ করেছেন দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মাসুদ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তিনি দুধ দিয়ে গোসল করে দল থেকে পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এই নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এমন ভিডিও ক্লিপও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

কামরুজ্জামান মাসুদ ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির ছাদে বসে দুধ দিয়ে গোসল করছেন মাসুদ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি জনগণের ভোটে ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমি দলীয় চেয়ারম্যান নয়। আমি কখনোই চাইনি ছাত্র-জনতার বিপক্ষে থাকার।”

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ বিষয়ে কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, “গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বারে কী হবে তা আমি জানতাম না। আমাকে দলের সিনিয়র নেতারা ভুল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশে যে সকল ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শোক প্রকাশ করতে দেবিদ্বার স্বাধীনতা চত্বরে শোক র্যালি ও শোকসভা করা হবে। এজন্য গিয়েছি।”

কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, “আমি গিয়ে যখন দেখলাম ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। তখন আমি বাড়ি আসতে চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে আসতে দেয় নাই। আমি দুই গ্রুপের মাঝখানে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে জীবন বাঁচাতে সংঘর্ষকারীদের কথা শুনতে হয়েছে।”

বাড়ির ছাদে বসে দুধ দিয়ে গোসলের আগে এক সংবাদ সম্মেলন করেন কামরুজ্জামান মাসুদ। এ সময় তিনি ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করে বলেন, “আমি সব সময় চেয়েছি আমার এই ফতেহাবাদ ইউনিয়নবাসীর পক্ষে থাকার। তারা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। দীর্ঘদিন আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে মামলা-হামলা ছাড়া কিছুই পাইনি। সব কিছু থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছি। এই ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে দেয়নি। সবসময় একই দলের অন্য নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছি।”

কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ও অন্যের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।”

Link copied!