নেত্রকোনার পূর্বধলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতাই আহত হিসেবে সরকারি আর্থিক অনুদান নিয়েছেন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। সরকার পতনের পর তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকার সরকারি চেক গ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা হয়। ওই ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কয়েকজন আন্দোলনকারীর বাসায়ও হামলা করা হয়। তবে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে আহত হন রাজ্জাক। পরে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “৫ আগস্টের পরে আমি কিছুদিন ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পরে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন দিয়ে জানান, উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এরপর আমি সেই বরাদ্দ গ্রহণ করি।”
ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। আওয়ামী লীগের কোনো পদে আমি নেই।”
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ানা কবির বলেন, “আমি সম্প্রতি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। এই বরাদ্দ আমার পূর্বসূরির সময় অনুমোদিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।