সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, “ভোট দিতে এসে দেখলাম এখানে পেশিশক্তির জোর দেখানো হচ্ছে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে কে বা কারা ভেতরে গিয়ে আমাদের ভোটারদের ধমকাচ্ছে, হয়রানি করছে।”
বুধবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর আনন্দ নিকেতন ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “ঘন ঘন ফোন আসছে, এজেন্টদের ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৯০টি কেন্দ্রেই আমি এজেন্ট দিয়েছি। অনেক কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে যদি পেশিশক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হবে না।”
এর আগে, বুধবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিলেট সিটিতে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।
এদিকে সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।