চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পলি খাতুন (২৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ও তার বাবা-মা পলাতক।
নিহত পলি খাতুন উপজেলার হারদি ইউনিয়নের গোপালদিয়াড় গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার বিকেলে স্ত্রী পলিকে পিটিয়ে হত্যা করেন রবিউল। পরে স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চিৎকার করতে থাকেন। পরে তিনি মোবাইলফোনে শ্বশুরবাড়িতেও জানান, পলি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুর পরিবারের লোকজন এলে তোপের মুখে পালিয়ে যান রবিউল এবং তার বাবা গিয়াস উদ্দীন ও মা পারুলা খাতুন।
এ ঘটনায় পলির বাবা ফরিদ আলী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রবিউলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তিনি বলেন, “জামাই রবিউলের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় আমার মেয়ের ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত। আজ মেয়েকে মারধর করায় সে আমার বাড়িতে আসতে চেয়েছিল। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।”
তিনি আরও বলেন, হত্যা ভিন্ন খাতে নিতে পলির মুখে বিষ দেওয়া হয়। তাদের সংসারে ৭ মাস বয়সী মেয়ে ও ২ বছরের ছেলে রয়েছে। পলি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানান তিনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, পলির আত্মহত্যার বিষয়টি অস্পষ্ট। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।