চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আলতাফ হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নববধূ জানান, তার সৎবাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী সজীব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই স্বামী সজীবের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। বাড়ি ফিরে সজীব বিষয়টি পরিবারকে জানান। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়।
অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। তিনি গত ১৭ বছর আগে আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের দুই কন্যা সন্তানের মাকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে ঘরজামাই হিসেবে আছেন ওই বউয়ের বাড়িতে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. একরামুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিন আগে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার বমি বমি ভাব দেখে পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পরে জানা যায়, ওই কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘটনায় আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার কার হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, “কিশোরী মেয়ে ও তার বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছেন। বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।”
ওসি আরও বলেন, “২২ দিন আগে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামী তার স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ধর্ষক বাবাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।”