• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপহৃত শিশুর ২১ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৮:৫১ পিএম
অপহৃত শিশুর ২১ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁর আত্রাইয়ে নিখোঁজের ২১ দিন পর নদী থেকে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে চিঠি ও মোবাইল ফোনে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় শিশুর বাবার কাছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুলবুল সোনারকে (৩০) শনাক্ত করে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর রাতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার বুলবুল উপজেলার শ্রীধরগুড়নই গ্রামের আব্দুল জলিল সোনারের ছেলে এবং শিশু ইব্রাহিম একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর দুপুরে শিশু ইব্রাহিম (৬) নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে পরের দিন থানায় জিডি করেন হযরত। এরপর থেকে শিশুর সন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। এরই মধ্যে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি নতুন সিম ও মোবাইল কিনে বাড়ির পাশে বাবুর চা-স্টলের চুলার মধ্যে রেখে আসতে শিশুর বাবার শয়নকক্ষে একটি চিঠি দেয় ঘাতক। এছাড়া দাবিকৃত টাকা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে মোবাইল ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে বুলবুলকে শনাক্ত করে ২৭ নভেম্বর আটক করে। ওই দিনই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারীশিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ বুলবুলকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুলের দেওয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) গাজিউর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল হাসান ইবনে রহমান ও আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকারসহ একটি টিম অভিযান চালিয়ে শ্রীধরগুড়নই নদীতে পুঁতে রাখা গলিত লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ আরও জানায়, বুলবুল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং পাশাপাশি গ্রামে মুদি ও চা-দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন শিশু ইব্রাহিম দোকানের ৫/৬টি বেলুন ফাটায়। তাকে চলে যেতে বললেও চলে না যাওয়ায় গলা টিপে হত্যা করে চা-স্টলের পাশে ছাইয়ের মধ্যে লাশ পুঁতে রাখে। এর পর সেখান থেকে গন্ধ বের হতে থাকলে গত ১৭/১৮ নভেম্বর নাগাদ অর্ধগলিত লাশ বালতিতে তুলে নদীর মধ্যে পুঁতে রাখে এবং লাশ যেন ভেসে না ওঠে সে জন্য বড় কংক্রিট দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে। এঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

Link copied!