ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল ঘিরে লালমনিরহাটে মুসল্লিদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ১৭টি শাটল কোচ চালু করেছে রেল বিভাগ। এরই মধ্যে লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলাজুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাত থেকেই ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেল বিভাগের সহকারী সড়ক পরিবহন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) লালমনিরহাট পৌঁছে জোহরের নামাজ শেষে বয়ান পেশ করার কথা রয়েছে মিজানুর রহমান আজহারীর। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য মো. রেনায়েল আলম রেল বিভাগের অতিরিক্ত এ ট্রেনের নতুন কোচ সুবিধা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে শত শত বাস লালমনিরহাট আসার খবর জানা গেছে। লালমনিরহাট জেলা মোটর মালিক সমিতির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, শনিবার জেলায় আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মাহফিলকে ঘিরে শুক্রবার রাতেই মাহফিলের মূল মাঠে কম্বল, চাদর নিয়ে অবস্থান নেন মুসল্লি ও ভক্তরা। দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন চাদর-কম্বল নিয়ে রাতের কনকনে শীতে মাঠেই রাত্রিযাপন করেছেন। গত রাতেই প্রায় ২ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে মাহফিল ময়দানে। আর সকাল থেকে মানুষের এই চাপ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
এই মাহফিলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছে আয়োজক কমিটি।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট নামের সংগঠনের ব্যানারে মাহফিলটির আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা জনসমাগম বিবেচনা করে দর্শকদের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করছে। জেলার সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। এ ছাড়াও কালেক্টরেট, সিপি স্কুল মাঠ ও নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জেলা স্টেডিয়াম মাঠ। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অন্য মাঠগুলোতে প্রচার করা হবে।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে আনসার, পুলিশ র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে প্রায় পাঁচ হাজার।