লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন ও নাকে খত দেওয়ানোর ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সুমন ভূইয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ৪-৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার কাজির দিঘীর পাড় বাজারের ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও সুমন ভূইয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় রহমত উল্লাহকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিন ভূইয়ার দোকানের সামনের খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এরপর সড়কে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত সুমন। তখন নাকে খত দিয়ে মুক্তি মিলে রহমত উল্লাহর।
ব্যবসায়ীদের দাবি, চুরির উদ্দেশে বন্ধ থাকা দোকানে প্রবেশ করেন রহমত উল্লাহ। এ সময় দোকানের মালিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করেন। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ কেউ তাকে মারধর করেন এবং নাকে খত দেওয়ান।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ও বাদী রহমত উল্লাহর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনার ভিডিও দেখার পরই পুলিশ নির্যাতনকারীদের খুঁজছে। তবে পালিয়ে থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এখন মামলা হয়েছে। পুলিশ এজহারভুক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য,গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজির দিঘীরপাড় বাজারে চুরির অপবাদে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর ও নাকে দেওয়ানো হয়। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, রহমত উল্লাহ নামের ওই যুবককে পেছন দিক থেকে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী নিজামসহ কয়েকজনের হাতে লাঠি ছিল। একপর্যায়ে সুমন নামে একজন এসে রহমতকে নাকে খত দিয়ে মসজিদ পর্যন্ত যেতে বলেন। বলা হয় নাকে খত দিয়ে মসজিদ পর্যন্ত গেলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নাকে খত দেওয়া শেষ হতেই পেছন থেকে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায়।
