• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

কিস্তির টাকা না দিতে পারায় গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ


মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
কিস্তির টাকা না দিতে পারায় গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তিন সন্তানের এক জননীকে ৮ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়রা ‘৯৯৯’ এ ফোন দিলে পুলিশ ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে। 

রোববার (৩০ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার রাজদী গ্রামে গণউন্নয়ন প্রচেষ্টার অফিস কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাঘরিয়া গ্রামের অসহায় ওই গৃহবধু বেসরকারি সংস্থা গণউন্নয়ন প্রচেষ্টা কালকিনি শাখা থেকে সম্প্রতি ৮০ হাজার টাকা ঋণ নেন।  ওই গৃহবধু ৩২ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করেন। পরে ওই অসহায় গৃহবধুর স্বামী বিদেশ গিয়ে নিখোঁজ থাকেন। ফলে ওই ঋণের বাকি টাকা পরিশোধ করতে না পারায় রোববার দুপুর ৩টায় গণউন্নয়ন প্রচেষ্টার কালকিনি শাখা ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অফিসকর্মী সুবেন্দু বৈদ্য ও রুপালী বৈরাগী ওই গৃহবধুকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। 

পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ সজিব স্থানীয় লোকজন নিয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাত ১১টার দিকে ওই এনজিও কার্যালয় থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। 

এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিচার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

ওই গৃহবধূ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী নিখোঁজ থাকায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারি নাই। তাই ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন, অফিস কর্মী সুবেন্দু বৈদ্য ও রুপালী বৈরাগী আমাকে স্বামী বাড়ি থেকে নিয়ে তাদের অফিসে আটকে রাখেন।” 

তিনি আরও বলেন, “আমি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই। আমি কি করে এ ঋণের টাকা পরিশোধ করব বলতে পারি না।”

ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ সজিব বলেন, “আমার এলাকার গৃহবধুকে আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করি।”

স্থানীয় রফিক ও রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গণউন্নয়ন প্রচেষ্টার এমন কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর বিচার চাই। তবে এর আগেও তারা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।”

ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় ওই গৃহবধুকে অফিসে আনা হয়েছিল।”

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, “ঋণের জন্য এক গৃহবধুকে আটকে রাখার বিষয়টি জেনেছি। পরে পুলিশ ওই গুহবধুকে উদ্ধার করেছে।”

Link copied!