• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, সরকারি কৌঁসুলিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
নির্বাচন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, সরকারি কৌঁসুলিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত
জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ জেলা জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) আলমগীর মুন্সীকে অপসারণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে একই অভিযোগে জিপি আলমগীর মুন্সীর নামে থানায় মামলা করা হয়।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মান্নান সংবাদ প্রকাশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন সংক্রান্ত একটি গোপন নথি দেখতে দেননি, এমন অভিযোগে ১৪ মে নির্বাচন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে। এরপর শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বাদী হয়ে ১৫ মে আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আলমগীর মুন্সীকে সরকারি কৌসুলি (জিপি) পদ থেকে অপসারণের জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন থেকে আইন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৮০ (ক) অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও বাধা প্রদান শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আলমগীর মুন্সী একজন সরকারি কর্মচারী। আচরণে তার আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল। তিনি যে আচরণ করেছেন, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জিপি পদে থাকার অযোগ্য বলে নির্বাচন কমিশনের মনে হয়েছে।

এ বিষয়ে আলমগীর মুন্সী বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। নির্বাচন কমিশন জিপির পদ থেকে আমাকে অপসারণ করেছে কি না, তা আমি জানি না। নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।”

শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মান্নান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, জিপি আলমগীর মুন্সীকে অপসারণের জন্য নির্বাচন কমিশন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে আলমগীর মুন্সী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লাঞ্ছিত করেছিলেন।

Link copied!