• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে যুবতীকে ধর্ষণ


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৮:৩৮ পিএম
নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে যুবতীকে ধর্ষণ

বগুড়ার শেরপুরে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রী রিপন রায় (৩০) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের সকাল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত রিপন রায় শেরপুর পৌরশহরের বসাকপাড়া মহল্লার শ্রী বিদু রায়ের ছেলে এবং বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত চার বছর ধরে ওই নারী (২০) শহরের উত্তরসাহাপাড়াস্থ তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। দেড় বছর আগে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের সঙ্গে যুবতীর পরিচয় ঘটে। এর সূত্রধরে তার মোবাইল নম্বর নেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। পরবর্তীতে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। এমনকি রাস্তা-ঘাটেও উত্যক্ত করত রিপন। তার প্রস্তাবে রাজী করার জন্য ওই যুবতীকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করা হয়।

গত ৩০ আগস্ট বিকেলে ক্ষমতার দাপট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে ওই যুবতীকে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক তাকে নেশার ট্যাবলেট খাওয়ানো শেষে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নানীর বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। তাই কক্ষে প্রবেশ করে রিপন তাকে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই যুবতী জানান, ছাত্রলীগের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আইনের আশ্রয় নিতেও বাধার সৃষ্টি করা হয়। এমনকি ঘটনার পর থেকেই প্রায় সতের দিন তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। বলা চলে এক রকম গৃহবন্দী অবস্থা। তবে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় থানায় এসে মামলা করেছেন তিনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, “ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিপন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই যুবতীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর রিপনকে বগুড়ায় আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!