কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। দিন দিন বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। অনেকে খোলা আকাশের নিচে, অনেকে নৌকায় দিন-রাত পার করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, অনেকেই ঘরের চালা ও ঘরের ভেতর মাচা করে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ উঠেছেন উঁচু বাঁধে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা। রান্না করা খাবারের সংকট, দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছেন মানুষজন। ইতিমধ্যে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবার বাসিন্দা ইব্রাহিম বলেন, “চার দিন থাকি হামার বাড়িত পানি। ঘরের ভিতরে পানি থাকার কারণে চালত আশ্রয় নিছি।’
একই এলাকার আঞ্জুমান আরা বলেন, “ঘরে এক গলা পানি। আশপাশে কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। বৃষ্টির মধ্যে নৌকার মধ্যে দিন রাত পার করছি।“
হকের চরের আব্দুল কাদের বলেন, “আজ পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকার মানুষ পানিতে। অথচ কোনো চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ দেখতে এলো না। আমরা সবাই খুব কষ্টে আছি।“
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, “বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহযোগিতার কাজ চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”