স্বামীকে ফাঁসাতে শিশুসন্তানকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে মা তাহমিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে একই দিন সকালে তাকে আটক করা হয়। রোববার (১২ মার্চ) রাতে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তাহমিনা আক্তার উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শিশু উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে সাইম (দুই মাস)।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে চারটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সবশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন খোকন মিয়া। তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকজনকে দাওয়াত দেন খোকন। এমন অভিযোগ এনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরদিন রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান তাহমিনা। পরে সেখানে এসে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করেন তাহমিনা। রোববার রাত ১১টায় সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তাহমিনা। এ সময় ওই রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকেন খোকন এসে তার সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে পরদিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে একটি মরদেহ দেখতে পান। তখন পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ও তাহমিনাকে আটক করে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা তার সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী খোকন তার স্ত্রী তাহমিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।