একটি আম গাছের চারার দাম ৫০ হাজার টাকা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
একটি আম গাছের চারার দাম ৫০ হাজার টাকা

ফরিদপুরে বৃক্ষমেলায় একটি আমসহ গাছের চারা সবার নজর কেড়েছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ আম গাছটি এক নজর দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। থোকায় থোকায় ধরে থাকা ‘চিয়াং মাই’ জাতের আম গাছটির দাম হাঁকা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর শহরের ব্রহ্মসমাজ রোডে চলছে বৃক্ষমেলা। মেলায় বেশ কয়েকটি নার্সারি স্টল দিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিক্রি করা হচ্ছে। স্টলগুলোর মধ্যে ফরিদপুর নার্সারি নামের স্টলটিতে রাখা বিদেশি আম গাছের গায়ে দাম সাঁটানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। অনেকে আম গাছটির সঙ্গে ছবি তুলছেন। তবে আম গাছের দাম নিয়ে ইতোমধ্যে শহরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে বলছেন একটি আম গাছের দাম এতো টাকা?

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর নার্সারি নামের স্টলটিতে এই আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙিন আম। আমগুলো দেখতে সুন্দর ও লম্বা আকৃতির। আমসহ গাছটি মানুষের নজর কাড়ছে।

আমগাছ দেখতে আসা শাহিনুজ্জামান খান বলেন, “খবর শুনে বিদেশি জাতের আমগাছ দেখতে এলাম। গাছটি ছোট হলেও আমগুলো বেশ বড় সাইজের। স্বচক্ষে দেখে বেশ ভালো লেগেছে। গাছটি কিনে বাড়িতে নিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু দাম বেশি।”

ফরিদপুর নার্সারির ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, “ফরিদপুর সদরের শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা ফরিদপুর নার্সারি মালিক আক্কাস হোসেন গাছটি বিদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। এটি থাইল্যান্ডের ‘চিয়াং মাই’ জাতের বিদেশি আম গাছ। যার বয়স প্রায় তিন বছর। এ আম খেতে খুবই সুস্বাদু ও রসালো। তাছাড়া প্রতিটি আম প্রায় এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আমের রং অনেকটাই গোলাপি।”

আফজাল হোসেন আরও বলেন, “এ বছর গাছটিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি আম ধরেছে। আগামী আরও বেশি ধরবে। একেকটা আমের ওজন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। এটি এক কেজি পর্যন্ত হয়। এ আমের কেজি ৪ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে এ কারণে গাছটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা। মেলায় ফল গাছের মধ্যে এ গাছটির দাম সর্বোচ্চ। আর এই গাছটিকে এক নজর দেখার জন্য মেলায় আগত দর্শনার্থীরা স্টলটিতে ভিড় করছেন।”

এ বিষয়ে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “জানামতে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই এলাকার নামানুসারে এই আমের নামকরণ করা হয়েছে চিয়াংমাই আম। এ জাতের আম দেশি আমের চাইতে সাইজে একটু বড় হয়। এটা দেখতে সুন্দর, খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং এ জাতের আমের ফলনও বেশ ভালো হয়।”

Link copied!