ঈদুল আজহার ছুটিতে বেনাপোল চেকপোস্টে বেড়েছে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা। ভিসার সহজলভ্যতা ও খরচ কম হওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, চিকিৎসা, ব্যবসা, কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ভারত যাচ্ছেন অনেকেই।
সোমবার (২৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে পুলিশ, আনসার ও বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। অল্প সময়ে ও কম খরচে বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কলকাতা হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া যায়। এ কারণে মানুষ এ পথে বেশি যাতায়াত করেন।
গত ১৬ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৭৩৯ জন যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ২২ হাজার ৬৭৩ জন এবং ভারত থেকে এসেছেন ৩০ হাজার ৬৬ জন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ধারণা ঈদের দিন পর্যন্ত যাতায়াত বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখের কাছাকাছি।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন থেকে ভারতীয় কাস্টমস, মেইন গেট, নোম্যান্সল্যান্ডে কয়েকটি গোলাকার লাইন পেরিয়ে আশেপাশের মাঠ ছাপিয়ে গেছে দীর্ঘ লাইনে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মা ও শিশুদের কষ্টের সীমা নেই। অনেক রোগীকে রাস্তার ওপরই বসে থাকতে দেখা যায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, “ঈদের ছুটিতে ২২ জুন সকাল থেকে যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে। শুক্র, শনি, রবি ও সোমবার যাত্রীর চাপ অন্যদিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। যাত্রীদের সেবায় ইমিগ্রেশনে আমাদের লোকজন একটানা কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি হবে না আশা রাখি।”
তিনি আরও বলেন, “পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এজন্য ইমিগ্রেশনে নজরদারি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীসেবা বাড়াতে ইমিগ্রেশন চত্বরে পুলিশের জনবল বাড়ানো হয়েছে।”