• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাহাজে চাল-ডাল নিয়ে দেড়শ মানুষ ফিরলেন সেন্টমার্টিনে


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
জাহাজে চাল-ডাল নিয়ে দেড়শ মানুষ ফিরলেন সেন্টমার্টিনে
‘এমভি বারো আউলিয়া’ জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথ। এতে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মরিচ, তেলসহ নিত্যপণ্যের সংকটে পড়েন দ্বীপবাসী। এমনকি চালের মজুত ফুরিয়ে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকল্প সাগরপথে চারটি ট্রলার যায় দ্বীপটিতে।

তবে এরপরেও থেমে থাকেনি মিয়ানমার থেকে গোলাগুলির শব্দ। এমনকি সাগরের মিয়ানমার অংশ যে রহস্যময় জাহাজ দেখা গিয়েছিল সেটা এখনও রয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই বলছেন, ওপারে আরও দুটি জাহাজ চোখে পড়েছে স্থানীয়দের। থেমে থেমে বিকট শব্দও ভেসে আসছে।

তবে দ্বীপের বাসিন্দাদের চাহিদা ও জীবন বাঁচাতেই শুক্রবার (১৪ জুন) চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি ছেড়ে যায়। জাহাজটিতে দ্বীপের দেড় শতাধিক লোকজনও ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়। বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেটা সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। পণ্যসামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকা পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও সেখানে ফিরবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এসময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক ব্যক্তি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে পুলিশের একটি দলসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা ট্রলারের করে টেকনাফে ফিরছিলেন। সেসময় ট্রলারটিকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের ভেতর থেকে ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। সেই দিনের পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে কেউ যাতায়াতের সাহস পাননি।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের কোনো বিকল্প পথ নেই। সেই ঘটনার পর গত ৮ জুন দুপুরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পণ্যবাহী আরেকটি ট্রলারে ৩০-৪০টি গুলিবর্ষণ করা হয়। তাতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লাগে। এ ঘটনার পর নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েন সেন্টমার্টিনে বসবাসকারী ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!