মৌলভীবাজারের হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলের পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে যায় একটি কুঁচিয়া। প্রথমে বিষয়টি ওই ব্যক্তি তেমন গুরুত্ব দেননি। পরে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে হয় তাকে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পেট কেটে জীবিত অবস্থায় কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে। ভুক্তভোগী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চা-বাগানের জেলে সম্রা মুণ্ডা (৫৫)। সম্রা মুণ্ডা জানান, তার স্ত্রী বাগানে কাজ করেন। দুই ছেলে কুঁচিয়া ধরেন। শনিবার সকাল সাতটার দিকে ছোট ছেলে তপন মুণ্ডাকে সঙ্গে নিয়ে মৌলভীবাজারের হাইল হাওরে কুঁচিয়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কেজি কুঁচিয়া ধরেন সম্রা। শেষ দিকে একটি গর্তে আরও দুটি কুঁচিয়া পান।
বাবা–ছেলের সঙ্গে কথা বলে আরও জানান, থলেতে ভরার জন্য দুই হাতে দুটি কুঁচিয়া ধরেন সম্রা মুণ্ডা। কিন্তু থলেতে ভরার আগে কাদামাটিতে পা পিছলে তিনি পড়ে যান। একপর্যায়ে হাত থেকে কুঁচিয়া দুটি ছুটে যায়। এর মধ্যে একটি তাঁর পরনের প্যান্টের মধ্যে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে পায়ুপথ দিয়ে কিছু একটা ঢুকে পড়ার অনুভূতি পান তিনি। তখন বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি সম্রা মুণ্ডা।
সম্রা মুণ্ডার ছেলে তপন মুণ্ডা বলেন, বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা দেওয়া হয়। আলট্রাসনোগ্রামে পেটের ভেতরে লম্বা কিছুর উপস্থিতি দেখা যায়। এরপর রোববার রাতে অস্ত্রোপচার করে জীবিত অবস্থায় কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
চিকিৎসক জানান, কুঁচিয়াটি সম্রা মুণ্ডার পেটের মধ্যে কিছু নাড়ি কেটে ফেলেছে, যার কারণে পায়খানার রাস্তা বন্ধ রেখে আপাতত নল দেওয়া হয়েছে। দেড় মাস পর আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।