কুড়িগ্রামের পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেছে ৯টি পরিবার।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে জেলা শহরের পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়া এলাকায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা পাশের সোহেল মিয়া, ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ৯টি পরিবারের মালামালসহ ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত সমিত চক্রবর্তী বলেন, “আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে একটু বাইরে গেছিলাম। পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটরটি চলছে না। পরে আমি সুইচ বন্ধ করে দেই। একটু পর দেখি সেচ পাম্পের ওখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সবরুমে। পরে আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও ঘরের সব আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।”
সমিত আরও বলেন, “আমরা ৬টি কোম্পানির সঙ্গে ডিলারসিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বের হয়ে আসছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম।”
কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, “আমার তিনটি রুমে থাকা দুইটি এলইডি টেলিভিশন, ২টি বক্সখাট, ফ্রিজ, ৭টি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব কিছু পুড়ে শেষ। শুধু পরনে থাকা পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।”
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।