নাটোরের বড়াইগ্রামে পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মাছ চুরির সময় ছাত্রদলের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার পারকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাছ ধরার জাল ও একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন বনপাড়া ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা। বাকিরা হলেন আলমগীর হোসেন, কৌশিক আহমেদ, জামিল হোসেন, রাজু আহমেদ, তুষার হোসেন, সুমন আলী ও আমজেল হোসেন। তারা সবাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি ইব্রাহিম হোসেন জানান, পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠসংলগ্ন ৫০ শতক আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে, যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ আছে। স্থানীয় মসলম উদ্দিন, ইসলাম আলী, আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন মাছ চুরির পরিকল্পনা করেন।
রোববার ভোরে ১০-১২ জনের একটি দল মাছ পরিবহনের জন্য ট্রাক, ভ্যান ও জাল নিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে আসে। এ সময় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আমজাদ হোসেন বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা দলবদ্ধভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঘিরে ফেলেন। অধিকাংশ অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও সাতজনকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাছ চুরির ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।