আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপরে ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্টিং হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজশাহী নগরীর নানকিং দরবার হলে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লিটন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এবার আমার লক্ষ্য কর্মসংস্থান। আমার নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম বিষয়টি আছে কর্মসংস্থান। নগরবাসী সুযোগ দিলে এবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।“ এ সময় নগরবাসীর কল্যানে কাজ করার জন্য নগরবাসীর কাছে আরেকটিবার সুযোগ চান তিনি।
নির্বাচনে বিএনপি না থাকায় ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে রাসিকের সাবেক এই মেয়র বলেন, “আমি খুবই খুশি হতাম যদি বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল সিটি নির্বাচনে অংশ নিতো। কিন্তু নানাভাবে তাদেরকে অনুরোধ করার পরও তারা নির্বাচনকে বর্জন করেছেন। সামনে সংসদ নির্বাচনেও তারা কী করবে বলা যাচ্ছে না। কেউ যদি না আসে তাহলে তো আমাদের কিছু করার নাই, যারা আছে তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন করতে হচ্ছে।”
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “যেহেতু রাজশাহীতে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রায় ১১২জন প্রার্থী আছেন, সংরক্ষিত নারী আসনেও অনেক প্রার্থী আছেন। তারা সকলে মিলেই ভোটারদের নিয়ে আসবেন, খুব স্বাভাবিক কথা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, ভোটাররাও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আসবেন। সব মিলিয়ে আমি আশা করছি, ৬০ শতাংশের ওপরে ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্টিং হতে পারে।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতর ব্যাপারে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী লিটন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি, নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নাই। তারা ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড বা কেন্দ্র তালিকা ইতোমধ্যে করেছেন, আমরাও তালিকা দিয়েছি যে কয়েকটি কেন্দ্রে সমস্যা হলেও হতে পারে। তবে সেটা নিশ্চয়ই বড় আকারের কোনো কিছু হবে না। দলীয় নেতাকর্মীরাও সার্বক্ষণিক থাকবেন, তাদেরকেও সেভাবেই দায়িত্ব দেওয়া আছে। আর নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো কিছুই ইনশাআল্লাহ ঘটবে না।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাইমুল হুদা রানা, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নওশের আলী, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২১ জুন ইভিএম পদ্ধতিতে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নগরীর মোট ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভোটার ৬ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।